শিরোনাম
Passenger Voice | ০১:১১ পিএম, ২০২২-১১-২২
নিজস্ব প্রতিবেদক ।। ৭০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যায়ে চট্টগ্রামেও বাস্তবায়ন করা হবে মেট্রোরেল প্রকল্প। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এরিয়ার জন্য ট্রান্সপোর্ট মাস্টার প্ল্যানের আওতায় ‘ট্রান্সপোর্ট মাস্টারপ্ল্যান অ্যান্ড প্রিলিমিনারি ফিজিবিলিটি স্টাডি ফর আরবান মেট্রো রেল ট্রানজিট কন্সট্রাকশন অব চিটাগাং মেট্রোপলিটন’ এরিয়া শীর্ষক প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পটির প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পের মোট বাজেটের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সহায়তা থেকে ৫৭ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, ‘সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর চলতি বছরের ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিত হয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা। ওই সভায় দেওয়া সুপারিশগুলো প্রতিপালন করায় প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)।
প্রকল্পের মূল কার্যক্রমে ৫৭ কোটি টাকার পরামর্শক সেবা (মাস্টারপ্ল্যান এবং প্রাক সম্ভব্যতা সমীক্ষা), ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার পরামর্শক সেবা (প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন), ২ কোটি ২৯ লাখ টাকার আউটসোর্সিং, ১ কোটি টাকার কারিগরি পরামর্শক, এক কোটি টাকার পরিবহন পরামর্শক এবং ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার গাড়ি ভাড়া বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে যানজট হ্রাস ও চট্টগ্রাম মহানগরীর জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য পরিবেশবান্ধব মেট্রোসিস্টেম চালু করা হবে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ডিটিসিএ, সিডিএ, সিসিসি ও সিএএ’র প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) সত্যজিত কর্মকার গনমাধ্যমকে জানান, ‘চট্টগ্রাম মহানগরীর জন্য একটি সমন্বিত মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন এবং প্রাক-মেট্রোরেল সম্ভব্যতা যাচাইয়ের জন্য টিএপিপিটির অনুমোদন দেওয়া যেতে পারে।
প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৪০ লাখ মানুষ বসবাস করে। শিল্প কারখানা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্রমবর্ধমান প্রসারের মাধ্যমে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দ্রুত নগরায়ন ঘটেছে। ফলে চট্টগ্রামে মহনগরীর পরিবহন ব্যবস্থার উপরে চাপ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ট্রাফিক জ্যাম, দূর্ঘটনা, বায়ুদূষণ ইত্যাদি সমস্যা বেড়ে চলছে।
চট্টগ্রাম শহর ও আশপাশের পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম বন্দর বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়েছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন ১৯৯৫ সালে চট্টগ্রামের ট্রাফিক ও পরিবহনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন কৌশল একটি সমীক্ষা পরিচালনা করে। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এমআরটি লাইন স্থাপনের জন্য একটি প্রাক-সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন করে। চট্টগ্রাম মহানগরীর যানজট পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন সংস্থা নানা পদক্ষেপ নিলেও সমন্বিত পরিকল্পনা না থাকায় বিচ্ছিন্নভাবে নেওয়া প্রকল্প জনদুর্ভোগে লাঘবে ফলপ্রসূ হয়নি।
এজন্য চট্টগ্রাম মহানগরী ও পাশ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসন ও পরিবেশ উন্নয়নে একটি পরিবহন মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে। মেট্রোরেলের জন্য প্রাক-সম্ভব্যতা সমীক্ষা পরিচালনায় এই কারিগরি সহায়তা (টিএপিপি) প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে।
পিভি/জেএম/ডেস্ক
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2024 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.